Wednesday, May 19, 2021

আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের তিনটি ওছিয়তের প্রথমটি

১. জীবনে একটি কাজের সাথে কোন দিন আপোষ করবেন না সেটা হল নামাজ/ সালাত, কোন দিন বলিয়েন না একটু পর পরব বলিয়েন না যে কাল থেকে পড়ব , কেন ? কারন এটা একটা আসচারজ ইবাদত আপনার বাসার সামনে রাস্তায় গর্ত হয়ে গেছে বৃষ্টি তে পানি জমে মানুষের কষ্ট হয় , আপনি লেবার দিয়ে ইট দিয়ে মেরামত করে দিলেন বিনিময়ে জান্নাত আপনার বাড়ির সামনে কুকুর মরে পরে আছে গন্ধ বের হচ্ছে আমি দূরে নিয়ে পুতে দিলেন , বিনিময়ে জান্নাত প্রমান বুখারি মুসলিমের হাসিদ , সেটা কি ---- ঐযে ঐযে ঐযে লোক যা জান্নাতে চলে গেল ,কেন? সে কেন জান্নাতে গেল , রাস্তায় গাছ পরে ছিল লোক টা কেটে সরিয়ে দিয়েছে , এই টুকুর বিনিময়ে জান্নাত --সহী বুখারি শরীফ কিন্তু আল্লার নবী বলছেন সব নেকী নিরবর করে নামাজের উপর , নামাজ নেই তাঁর কিছুই নেই , নামাজ আছে সব আছে ।

Thursday, April 22, 2021

বরকতময় রামাজানের জুম্মার দিন

রমজান মাসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবি, তাহাজ্জুদ, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। আর রমজান মাসের জুমাবার মুসলমানদের জন্য আরো বেশি গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ একটি দিন।
ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিনটি অনেক বরকতময় ও তাৎপর্যপূর্ণ। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা এ দিনকে অন্যান্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। পবিত্র রমজানের জুমার দিন হওয়ায় এর ফজিলত ও গুরুত্ব আরো অনেকগুণ বেশি। পবিত্র কোরআন ও হাদীসে জুমার দিনের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এই দিনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ‘মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সূরা: আল জুমুআ, আয়াত: ৯) ‘মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ (সূরা জুমুআ :০৯) হাদীসে বলা হয়েছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইউসুফ (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবত (ফরজ) গোসলের মত গোসল করে সালাতের জন্য আগমণ করে, সে যেন একটি উট কোরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমণ করে, সে যেন একটি গাভী কোরবানী করল। যে ব্যক্তি তৃতীয় পর্যায়ে আগমণ করে, সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমণ করে সে যেন একটি মুরগী কোরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমণ করল সে যেন একটি ডিম কোরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হয় তখন ফেরেশতাগণ জিকির শোনার জন্য হাজির হয়ে থাকেন। ইসলামি শরিয়তের বিধানে জুমার দিনের মাহাত্ম্য সীমাহীন। এই দিন মানব জাতির আদি পিতা- হজরত আদম (আ.) এর দেহের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত বা জমা করা হয়েছিল বলেই দিনটির নাম জুমা রাখা হয়েছে। জুমার দিনকে আল্লাহ তায়ালা সীমাহীন বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। এটি সপ্তাহের সেরা দিন। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন হচ্ছে জুমার দিন। এই পবিত্র দিনে হজরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। (মুসলিম শরিফ) এছাড়াও হাদীস শরিফে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জুমা তোমাদের পারস্পরিক দেখা সাক্ষাত ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। জুমার আগের রাত্রিটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। হাদীস শরিফে বলা হয়েছে, জুমার পূর্ববর্তী রাতে বনি আদমের সমস্ত আমল মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। (বুখারি, আহমদ)

Saturday, April 3, 2021

কেমন আছেন সাভারে আওয়ামী লীগের দূর্দিনের কান্ডারী আহসান হাবিবের পরিবার..!

সাভার আওয়ামী লীগের দূর্দিনের কান্ডারী 











এক সময়ের দাপুটে ও প্রভাবশালী এ নেতার পরিবারের সদস্যদের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্হানই বা কি? জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো যখন ছিল বর্ষীয়ান এ নেতার উপর নির্ভরশীল, তার উপস্থিতি ছাড়া বিএনপি-জামাতের সরকার বিরোধী আন্দোলন মাঠে গড়াতো না, কালের আবর্তে কতিপয় সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতার কারনে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়াত্বের মুখোমুখি আহসান হাবিবের পরিবারের সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব আর সুবিধাবাদী হাইব্রিড নেতাদের কারনে আওয়ামী রাজনীতি থেকে যেন হারিয়ে যেতে বসেছে পরিবারটি।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে আহসান হাবিবের বাবা হাজী ফজর আলী কোম্পানী প্রকাশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষাবলম্বন করায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান গ্রামের নিজ বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। স্হানীয় কালামপুর ক্যেম্প ধরে নিয়ে যায় আহসান হাবিবসহ ৫১ জন নিরপরাধ নিরস্ত্র সাধারন মানুষকে। এদের প্রত্যেককেই একে একে হত্যা করা হলেও নিজের বুদ্ধিমত্তায় সেদিন পাকিস্তানিদের হাত থেকে বেঁচে যান দক্ষ সংগঠক উদীয়মান তরুণ আহসান হাবীব। এরপর থেকেই হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে পথ চলা শুরু আহসান হাবিবের।
পরবর্তীতে ১৯৮৩-৮৪ সালে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্য মিথ্যা মামলায় দিয়ে ফাঁসিয়ে দিলে ৬ মাস হাজতবরন করতে হয় তাকে। শত বাঁধা বিপত্তি তাকে পিছু হটাতে পারেনি। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সময়ে এ অঞ্চলে যখন আওয়ামী লীগ তথা নৌকার পক্ষে কথা বলার মানুষ খুজে পাওয়া ছিল দূরুহ ব্যাপার তখন কাকরান গ্রামে সর্বপ্রথম মাইকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ভাষন প্রচার করে জাতির পিতার আদর্শে আদর্শিত ব্যক্তিদের সুসংগঠিত করে স্হানীয় আওয়ামী লীগকে পরিপূর্ণ রুপ দেয়। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ১৯৮৬ সালে ১ম বার ধামরাই ১১ নং ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা তার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে বাড়ী-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে হামলাকারীরা।
জনপ্রতনি থাকাবস্হায়ই ১৯৯০ সালে ঢাকার ধামরাই ও সাভারে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সোচ্চার ভূমিকা রাখায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নজরে আসে রাজপথ কাপানো অগ্র সৈনিক আহসান হাবিব।১৯৯১ সালে ২য় বারের মত ধামরাই ১১নং ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে বিপুল ভুটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।টানা ২ বারের চেয়ারম্যান ১০ টি বছর ধামরাই ১১ নং ভাড়ারিয়ার চৌকিদারের ট্যাক্স আহসান হাবিব তর নিজ হতে দিয়েছিলেন।১৯৯৫ সালের শেষের দিকে তৎকালিন সৈরাচার সরকার। বি এন পি পতনের নেএী অসহযোগ আন্দোলনে সাভার আমিনবাজার বাইপ্যল জিরান নয়ারহাট কাঠগড়া বিরুলিয়া একাধারে সাভারে সাধারন জনগন নিয়ে যে ধরনের বলয় তৈরি করেছিলেন তা নজীর বিহীন ১৯ দিন দিনমুজুরের খুরাকি সাধারন মানুষের জন্য সাভার বাস সটা্যনড হোটেল এবং তৃনমুলের জন্য ৬ জাগায় প্রতিদিন ২০০ ডেকচি খিচুরি ব্যবস্থা ছিল।
১৯৯৫ সালে সাভার পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন আওয়ামীলীগ হতে দলিয় নমিনেশন পেয়ে রিক্সা মার্কায় মেয়র হিসেবে নির্বাচন করলেও তৎকালীন বিএনপি সরকারের সুক্ষ কারসাজির কারনে মাত্র ২২৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আহসান হাবীব। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৯৬ সালে এ অঞ্চলে সরকারবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে স্হানীয় পযর্যায়ে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দেন আহসান হাবীব। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সাভার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোনীত হন। ১৯৯৬ সালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনোনীত হন। ১৯৯৬ সালে সাভার হতে জাতীয় সংসদ ইলেকশনে আওয়ামীলীগ হতে প্রার্থী হয়েছিলেন।২০০০ সালে শেখ হাসিনা উপজেলা আওয়ামীলীগ কমিটি ঘোষনা দিলে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নিয়ে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোনীত হন।
২০০১ সালে সাভারের আমিনবাজারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় আহসান হাবীবকে প্রধান আসামী করে মামলা ও পারিবারিকভাবে নির্যাতন করা হয়। করা হয় অার্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্হও। ২০০৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষনা দেন। পরবতীতে অসুস্থ হয়ে পরলে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়াত্বের খড়গ নেমে আসে আওয়ামী লীগের দূর্দিনের কান্ডারী এ পরিবারটির উপর। অনেকটা নিভৃতেই ২০১৫ সালে পরপারে পারি জমান আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা। বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া রাজনৈতিক পরিচয় ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধুর আদশর্শ নিয়েই পথ চলতে শুরু করেন সৎ, মেধাবী আর উদীয়মান তরুন আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মাসুম হাবীব। ২০১২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য মনোনীত হন। বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ২০১৫ সালে ঢাকার ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থীতার ঘোষনা দিলেও বাধ সাধে তালিকাভূক্ত রাজাকরের পরিবারের সদস্যরা। রাজনৈতিক কূটকৌশলে সেবার রাজাকার পরিবারের কাছে হার মানলেও আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে আছেন তিনি। প্রতিদিনই নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে করছেন গণসংযোগ। পালন করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচীও। বাবা মরহুম আহসান হাবীবের কর্মগুনে সাধারণ মানুষের সাড়াও পাচ্ছেন ব্যাপকভাবে।
স্হানীয় প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করে বলেন, একটা সময় ছিল, যখন হাবিব সাব না এলে রাজপথে কোন মিছিল-মিটিং হতো না, হতো না সভা সমাবেশ, তার দান-অনুদানে আজ অনেকেই জেলা-উপজেলা এবং পৌরসভার শীর্ষ পদে আসীন হয়েছে, কিন্তু আজ আওয়ামী রাজনীতিতে নেই হাবিব পরিবারের কেউ-যা কষ্ট

Labels: ,

Wednesday, February 24, 2021

হৃদয় চাপাকান্না "পিলখানা হত্যাকাণ্ডের" এক যুগ আজ

 বগুড়া: ২৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন। ২০০৯ সালের এই দিনটিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল কিছু বিপথগামী সৈনিক। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবি’র (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস, বিডিআর) সদর দফতরে তারা এক ধ্বংসলীলা চালান। তাদের সেই উন্মত্ততার শিকার হয়ে প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা এবং নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জন। ২৫ ফেব্রুয়ারি পরিণত হয় ‘পিলখানা হত্যা দিবসে’। মর্মান্তিক সেই ঘটনার এক যুগ পূর্তি হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে বিডিআর দরবার হলে চলমান বার্ষিক (দরবার) নির্ধারিত সভায় একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক তাদের মহাপরিচালকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মহাপরিচালকসহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা ও তাদের পরিবারকে জিম্মি করে।

পিলখানার চারটি মূল ফটকই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকে। জন্ম নেয় ইতিহাসের এক বীভৎস ঘটনা। টানা ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান ঘটলেও ততক্ষণে বিদ্রোহী সৈনিকরা কেড়ে নেন ৫৭ জন দক্ষ সেনা কর্মকর্তার জীবন। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। ঘটনার পর পিলখানায় আবিষ্কৃত হয় গণকবর। যেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ।

এ ঘটনায় হতবাক হয়ে যায় সারাদেশের মানুষ। মাত্র ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তা, একজন সৈনিক, দুইজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ জন বিডিআর সদস্য এবং আরও পাঁচ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

পিলখানা ট্র্যাজেডির এই ঘটনায় ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক নবজ্যোতি খিসা। এছাড়া বিজিবি’র নিজস্ব আইনে ৫৭টি মামলার বিচার শেষে সারাদেশে ৫ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।

২০১০ সালের ১২ জুলাই পিলখানা হত্যা মামলায় ৮২৪ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে সম্পূরক চার্জশিটে আরও ২৬ জনকে আসামি করা হয়। পিলখানা হত্যা মামলার ২৩৩ কার্যদিবসে ৬৫৪ জন সাক্ষী আদালতে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার ৪ বছর ৮ মাস পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লালবাগে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এ হত্যা মামলার রায় দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে ৮৫০ জন আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৭১ জনকে খালাস দেওয়া হয়। ২ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২৬৬ জনকে।

২০১৭ সালের ২৭শে নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়। আট জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চার জনকে খালাস দেওয়া হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টে আপিল চলার সময়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। খালাস পান ১২ আসামি।

এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এখনো বিচারাধীন। মামলাটির আসামি রয়েছেন ৮৩৪ জন। এর মধ্যে ২৪ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। পলাতক রয়েছেন ২০ জন।

দিবসটি পালন করতে বিজিবি ও সেনা সদর নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিজিবি ও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে শহিদ সেনা সদস্যদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

অন্যদিকে, বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে পিলখানায় বিজিবির সদর দফতরসহ সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় কোরআনখানি হবে। বিজিবি’র সব মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি পালন উপলক্ষে বিজিবি’র যেসব স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয়, সেসব স্থানে বিজিবি পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবি সদস্যরা কালো ব্যাজ পরিধান করবেন।

আগামীকাল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা পিলখানায় বিজিবির কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ ও বর্ডার গার্ড হাসপাতাল মসজিদে শহিদ ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ওই দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদদের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা এতে অংশ নেবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------
Shawon bond

#shawon_bond
 #
পিলখানা_হত্যাকাণ্ড
#
সেনাবাহিনী

Labels: , ,

Monday, February 8, 2021

সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে পৌরবাসী

 যোগ্য দেখে পক্ষ নিয়ে

আবার ও সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে পৌরবাসী 


পৌর অবিভাবক 
নেতার কথায় বিশ্বাস ও তার উপর আস্থা রেখে যেমন তাকে নির্বাচিত করেছেন তেমনি তিনি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এখন মাঠে নেমেছেন আপনাদের সেবায় , তার প্রথম চাওয়া , সমস্যা সমাধানের আগে সমস্যা নির্ণয় করা ,আর তাই আপনাদের সহায়তা একান্ত কাম্য ।

সু-নাগরিক হিসেবে মতপ্রকাশ  আপনার কর্তব্য 

তাই সকলে এগিয়ে আসুন-এই শহর আমাদের  প্রানের শহর



Labels:

Tuesday, April 14, 2020

ফেনীতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন ‘বেস্ট ইনে’

হোটেল বেস্ট ইন
ফেনীতে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেসন ইউনিটে দায়িত্ব পালন শেষে চিকৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্টরা থাকবেন জেলার অভিজাত আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ‘হোটেল বেস্ট ইন’ এ।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) রাতে স্টার লাইন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও হোটেলের চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাফর উদ্দিন বলেন, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর পরামর্শে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এখানে কোয়ারেন্টিন শেষ করে পরিবার ও কর্মস্থলে ফিরে যাবেন। 

ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
তিনি বলেন, দায়িত্বরত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এটি একটি ভালো ব্যবস্থা। হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে দায়িত্বরতদের পরিবারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এ সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাজ্জাদ হোসেন ফেনী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, স্টার লাইন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এবং হোটেলের চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

সুত্রঃ বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম

Monday, April 13, 2020

শুভ নববর্ষ ১৪২৭ স্বাগতম

একটি বছর অতিক্রান্ত করে বাঙালিরা এগোতে চলেছে এক নতুন বছরের সূচনার পথে। ১৪২৬ সনকে বিদায় জানিয়ে বাঙালি বরণ করে নেবে ১৪২৭ সনকে।

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ পালিত হয়। সেইমতোই এবছর নববর্ষ পালিত হতে চলেছে আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল। দুঃখ-কষ্ট, মনের সমস্ত গ্লানি ভুলে এগিয়ে যাবার সময় এসেছে। তবে এই বছরটা একটু অন্যরকম।

করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের জনজীবন। তাই কিছুটা হলেও মন খারাপ বাঙালিসহ গোটা বিশ্ববাসীর।
কচি পাঁঠার ঝোল, চিংড়ি বা ইলিশ, আপামর বাঙালির পাতেও পড়েছে ভাটা। সবমিলিয়ে নববর্ষের সেই আনন্দ এখন অধরা।